wKfv‡e Kwd Pvl Ki‡eb ?
সারাবিশ্বে কফি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় পানীয়। বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১১০ কোটি কাপ কফি পান করা হয় যার মূল্য ৫,৫০০ কোটি টাকা। চা বাংলাদেশে চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করলেও আমরা এখন পর্যন্ত কফি চাষে পিছিয়ে রয়েছি। যদিও বর্তমানে এ দেশের পাe©Z¨ অঞ্চলের তিনটি জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং টাংগাইল, রংপুর, ও নীলফামারীতে কফি খুব স্বল্প পরিসরে উৎপাদিত হচ্ছে।
বর্তমান K…ষিবান্ধব সরকার বাণিজ্যিক কষির জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। কফি একটি অর্থকরী ফসল বিধায় এটি চাষ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন হবে তেমনি এটি বহুমাত্রিক পুষ্টি উৎপাদন সমৃদ্ধ বলে জনগণের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করবে। উল্লেখ্য কফি হতে পারে বাংলাদেশের পাহাড়ি মাby‡lর বিকল্প আয়ের উৎস। কফি চাষের সাথে আন্তঃফসল হিসেবে পেঁপে, আনারস, ‡Mvjমরিচ অনায়াসে চাষ করা যায়। কফি হালকা ছায়ায় ভাল হয় এবং অতিরিক্ত সার ও সেচের তেমন প্র‡qvজন হয় না, যা পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে চাষ করলে সার ও সেচের প্র‡qvজন হয়। স্থানীয় চাহিদা অনেক বেশি ও রপ্তানির সু‡hvগ রয়েছে বলে এটির উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের চাষ উপ‡hvগী আবহাওয়া ও জলবায়ু :
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু
কফি চাষের অনুকূল। ‡ivবাস্টা জাতের কফি বাংলাদেশের
আবহাওয়ায় খুব উপ‡hvগী। এটি সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে
৫০০-১০০০ মিটার উচ্চতায় এবং ১০০০-২০০০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ভাল ফলে, সেজন্য বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকা যেমন-পার্বত্য অঞ্চল ও টাংগাইলের
মধুপুর গড়ের আবহাওয়ায় এটির সম্প্রসারণ সম্ভব। রংপুর এলাকার মাটি ও আবহাওয়া কফি
চাষের জন্য যথেষ্ট উপ‡hvগী।
মাটি :
কফি চাষের জন্য উপ‡hvগী মাটি হ‡jv গভীর, ঝুরঝুরে, জৈব পদার্থ ও হিউমাসসমৃদ্ধ হালকা অম্ল মাটি (পিএইচ ৪.৫-৬.৫)।
কফি জাত :
পৃথিবীতে ৬০ প্রজাতির কফি থাকলেও বাণিজ্যিকভাবে
চাষাবাদ‡hvগ্য দুইরকমের কফি রয়েছে ‡hgb-Coffea Arabica and
Coffea cannephora(Robusta). Arabica জাতগy‡jvi g‡a¨
উল্লেখ‡hvগ্য হচ্ছে sln.9 (Rust resistant), s.795 (জনপ্রিয় জাত), sln.12. এবং Robusta জাত হচ্ছে s.724. ভিয়েতনামি
জাত- chu se,Di Linh.
চারা রোপণ :
কফির বীজ ও কলম থেকে চারা তৈরী
করা হয়। প্রথমে পরিকৃ, পুষ্ট, বালাইমুক্ত বীজ সংগ্রহ করে ফলের ‡Lvসা ছাড়িয়ে
পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে দল থেকে বীজ আলাদা করা হয়। ভালভাবে বীজ শুকিয়ে শুকনা
কাঠের গুঁড়া বা ছাইয়ের সাথে মিশিয়ে ছায়াতে ছড়িয়ে রাখা হয়। ৪-৫ দিন পর বীজ
আলাদা করে বীজতলায় বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে বীজ গজিয়ে চারা
হয়। ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসে পলিব্যাগে চারা ¯’vbvন্তi হয়। মে- জুন
মাসে মূল জমিতে গর্ত করে চারা ‡ivপণ করা উত্তম। গর্তে জৈবসার এবং
সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার প্রয়ােগ করা তলে চার ৩x৩ মিটার দূরত্বে ‡ivপণ করলে হেক্টরে ১১২৫-১১৫০টি চারা
প্র‡qvজন হয়।
ছvয়v প্রদানকারী গাছ :
কফি গাছ উচ্চতাপমাত্রা এবং তীব্র
সূর্যা‡jvক সহ্য করতে পারে না। ‡ivবাস্টা জাত কিছুটা সহনশীল হলেও কফি
বাগানের ছায়া হনকারী গাছ ‡ivপণ করা প্র‡qvজন। কফি
ক্ষেতের মাঝে মাঝে মান্দার, কড়াই, কাঁঠাল, ডুমুর, সুপারি, পেঁপে প্রভৃতি
ছায়া প্রদানকারী গাছ হিসেবে ivLv যেতে পারে। সুপারি গাছে বাড়তি
হিসেবে ‡Mvলমরিচ আবাদ করা যায়।
সvর প্র‡য়াগ :
সvর প্র‡য়াগ জাত, গাছের বয়স, মাটির গুণাগুণ, জলবায়ু আবহাওয়া প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল। এরাবিকা জাতের চেয়ে ‡রাবাস্টা জাতে
সvi Kg লাগে | বছরে ৪ বার গাছের ‡গাড়ায় সার
প্র‡য়াগ করলে ভা‡লা ফলাফল পাওয়া যায়। মার্চ (ফুল
ফোটার আগে), মে (ফুল ফোটার
পর), আMó I অক্টেৰi মাসে ১বছরের
গাছপ্রতি প্রতিবার ২০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫ গ্রাম
টিএসপি, ২০ গ্রাম পটাশসার প্র‡য়াগ করা প্র‡য়vজন। ৪র্থ বছরের
গাছে গেvovয় 3৫ গ্রাম ইউরিয়া, ২৫ গ্রাম টিএসপি, ২৫ গ্রাম পটাশ
প্র‡য়াজন। ৫ বছর ও তদূর্ধ্ব গাছে ৪৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৩০ গ্রাম টিএসপি এবং ৩০ গ্রvg পUvশ প্রয়োজন।
গাছের ‡গাড়া থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে নালা করে সার প্র‡য়াগ ও সেচ
দিয়ে গাছের ‡গাড়ায় মালচিং দিতে হবে। তাছাড়া
গাছ প্রতি ৫-৬ কেজি জৈবসার প্র‡য়াগ করলে ভা‡লা ফলন হবে।
আবার গাছের বাড়-বাড়তি কমে গেলে এবং ফুল ও ফল ধরার সময় ১০ লিটার পানিতে ২৫ গ্রাম
ইউরিয়া, ২০ গ্রাম টিএসপি, এবং ১৮ গ্রাম পটাশ মিশিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করতে হবে।
পরিPh©v:
প্রথম ২-৩বছর বাগান আগাছামুক্ত
রাখা। গাছের ‡গাড়ায় মালচিংসহ দুই সারির মাঝে
সীম জাতীয় ফসল চাষ করলে মাটিতে নাইট্রোজেশ যুক্ত হবে।
এপ্রিল-মে মাসে প্র‡য়াজনে সেচ দেয়ার ব্যবস্থা নিতে
হবে। মরা চারার স্থলে নতুন চারা প্রতিস্থাপন করতে হবে।
Wvলপালা ছvUvই:
গাছে সঠিক কাঠা‡মা দেওয়াসহ ফল
ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডালপালা ছাঁটাই জরুরি। একক পদ্ধতিতে QvUvই Kivi †ÿ‡Î gvwU থেকে 1-১.৫০ মি, উতে কা‡Ûর শীর্ষ কুড়ি কেটে দিতে হবে। এতে
kvLvi সংখ্যা
বৃদ্ধি পেয়ে গাছ ঝোপালো হবে।
বালাই দমন:
কফি গাছে ‡পাকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আলমণ
গাধারণত কম হয়। কোন ক্ষেত্রে মিলিবাগ, গ্রীনবাগ, সাদা কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা উল্লেখযোগ্য। ম্যালাথিয়ন/কার্বারিল/সাইপারমেw_ªb
জাতীয় KxUনাশক
cÖয়োগ
K‡i
পোকা সহেজেই দমন করা যায়। কফির উল্লেখযোগ্য ‡রাগ হ‡লা
পাতার রাস্ট । তাছাড়া কা‡লা পঁচা, মূল
পচা, বাদামি Sjmv‡bv †ivM অনেক সময় দেখা যায়।
০.৫% বর্দো মিন্সার স্প্রে করে এসব †রাগ দমন করা
ফল সsMÖহ:
চারা ‡রাপণের 2-৩
বছৰ পর থেকে কফি সsMÖহ করা যায়। এivৰিকা জাতে ফুল ফোটার ৮-৯ মাস এবং রোevস্ট জাতে ১০-১১ মাস ci
dল সsMÖ‡ni
উপযুক্ত mমq। পরিপক jvল ব‡Y©I dj
হাত দিয়ে তোলা হয়। সাধারণত ১০ -১৫ দিন পরপর ৪-৬ কিস্তিতে বছরে ২ বার ফল সsMÖn করা যায়। একটি গাছ থেকে বছরে ১ কেজি ফল পাওqv hvq| ‡হ±i cÖতি
ফলন 7৫০- ১০০০ কেজি।
0 Comments